বৃহস্পতিবার, ৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৯:৩৪

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ

পিরোজপুরে প্রসূতির প্রসবস্থানে সুঁই রেখেই সেলাই, অত:পর …

dynamic-sidebar

এক প্রসূতির সন্তান প্রসবের পর পেটে ভাঙা সুঁই রেখেই সেলাই সম্পন্ন করার অভিযোগ উঠেছে পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবিকাদের বিরুদ্ধে। প্রসূতি সোনিয়া বেগম নেছারাবাদ উপজেলার পূর্ব জগন্নাথকাঠি গ্রামের রিকশাচালক মনির হোসেনের স্ত্রী।এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সোনিয়া বেগম গত শনিবার নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স গৌরি ও সুমিত্রার বিরুদ্ধে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

সোনিয়া বেগম সাংবাদিকদের জানান, গত ৪ মার্চ সন্তান প্রসবের জন্য তিনি নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। পরদিন (৫ মার্চ) স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবিকা গৌরি ও সুমিত্রার তত্ত্বাবধানে নরমাল ডেলিভারিতে (স্বাভাবিক প্রসব) মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। প্রসবকালীন প্রসবস্থানে কাটাছেঁড়া করা হয় এবং সন্তান প্রসবের পর সেবিকা গৌরি কাটা স্থানে সেলাই করার সময় ভাঙা সুঁই ভেতরে রেখেই ব্যান্ডেজ করেন।তিনি জানান, হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর তার সেলাইয়ের জায়গায় ক্রমেই ব্যথা বাড়তে থাকে। এতে সুস্থতার পরিবর্তে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

সোনিয়া এ নিয়ে ওই হাসপাতালের ডা. আসাদুজ্জামানের কাছে একাধিকবার চিকিৎসা করে তার দেয়া ওষুধ সেবন করেও সুস্থ হতে পারেননি। এক সময় তার সেলাইয়ের জায়গা ফুলে ওঠে। পরে নিরুপায় হয়ে তিনি স্থানীয় একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে গিয়ে সমস্যার কথা বললে সেখানকার চিকিৎসক তার সেলাইয়ের জায়গায় পুনরায় অপারেশন করে একটি ভাঙা সুই বের করেন।

সোনিয়া অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবিকা গৌরি ও সুমিত্রার খামখেয়ালিপনায়ই এ ঘটনা ঘটেছে। গৌরি ভালোভাবে ডেলিভারি করার জন্য তার কাছ থেকে ১ হাজার ৪শ টাকা বকশিশ নিয়েছেন। কিন্তু শরীরের অসুস্থতার কথা জানানোর জন্য বার বার হাসপাতালে এলেও গৌরিকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে সেবিকা গৌরি সাংবাদিকদের বলেন, ওই দিন হাসপাতালে সোনিয়ার ডেলিভারি তিনি করেছেন। অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে সেলাই স্থানে সুঁই ভেঙে থেকে যেতে পারে। কিন্তু ঘটনা যদি তাই ঘটে তাহলে সোনিয়ার সঙ্গে কেন যোগাযোগ করেননি?

এ ব্যাপারে হাসপাতালের টিএইচও ডা. তানভীর আহম্মেদ সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। ওই রোগী আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। এ ঘটনায় শনিবার দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তিন কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’’

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net